নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন
আবারও সংলাপের কথা নাকচ করে দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান , সংলাপের সময় শেষ হয়ে গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর দেওয়া সংলাপ-সম্পর্কিত চিঠির জবাব শিগগিরই দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে নির্বাচনের তফসিল নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানিয়েছেন ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘সবার জন্য নির্বাচনের দরজা খোলা আছে। আসুন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। বিএনপিকে বলব, মত পাল্টিয়ে অংশ নিন। দরজা খোলা আছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও জানান , ‘আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, সবাই ভোটে আসুক। তবে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
দলগুলোকে তিনি জানিয়েছেন , ‘সময় আছে। সরকারি দল হিসেবে আমরা অনুরোধ করছি, আসুন নির্বাচনে। আমরা কারও জন্য বাধা হব না। দিনরাত আমাদের যাঁরা গালিগালাজ করেন, তাঁদের জন্যও নির্বাচনের দরজা বন্ধ হয়নি। আমরা সকলকে স্বাগত জানাই। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে আমরা উৎসাহিত করি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘এত দিন শুনেছি, নির্বাচনী তফসিল হলে দেশে নাকি মহাপ্লাবন হয়ে যাবে। কই, কোথাও তো সেই প্লাবন দেখলাম না। কিন্তু সারা রাত নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে উৎসব দেখেছি।’
সংলাপ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘সংলাপ তো আমরা করেছিলাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণভবনে শেখ হাসিনা সংলাপ করেছিলেন। সে সময় ৭৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল আর বিএনপির সঙ্গে দুইবার সংলাপ করেছিলেন শেখ হাসিনা।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া যেভাবে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠী, তিনি হজম করেছিলেন। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? শেখ হাসিনার অপরাধ কোথায়? এ দেশে গণতন্ত্রের নামে পদে পদে কলঙ্ক ও নিষ্ঠুরতার ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।’
বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২৮ অক্টোবরে পুলিশের মৃত্যু ও প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা হয়েছে। তখন আমরা বুঝেছিলাম তাদের আন্দোলন শেষ। আন্দোলনের খুঁটিনাটি, কৌশল জানতে হয়, কিন্তু বিএনপি নেতারা সেটা জানে না। এখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আর কী দিয়ে আন্দোলন? তাঁদের নেতা নেই, আছে শুধু আবাসিক প্রতিনিধি, গুহা থেকে হঠাৎ হঠাৎ বক্তব্য দেয়। নেত্রী একদিন এক কর্মকর্তাকে বলেছিলেন দরকার নেই তাঁকে ধরার। থাকুক না একজন, বিরোধী দলের দরকার আছে।’
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply